ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শুরু হওয়া ক্লাব বিশ্বকাপের নতুন ফরম্যাটে ইতিহাস গড়লো চেলসি। ইউরোপ সেরার তকমা পাওয়া পিএসজিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে ইংলিশ জায়ান্টরা।
রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে দাপুটে পারফরম্যান্সে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনকে পরাস্ত করে ট্রফি জয়ের উৎসব করেছে চেলসি।
ম্যাচের আগে চেলসির অধিনায়ক রিচ জেমস হুঁশিয়ারি দিয়েই রেখেছিলেন, ‘আমরা রিয়াল মাদ্রিদ নই।’—অব্যক্ত সেই বাক্যে হয়তো বোঝাতে চেয়েছিলেন, ‘যে আমাদেরও ৪ গোল দিয়ে দেবে।’ মাঠে নেমে তার দল প্রমাণ করলো কথার পেছনে ছিল আত্মবিশ্বাস।
চেলসির গোছানো রক্ষণ আর মাঝমাঠের দখলে পুরো ম্যাচেই ছন্দ খুঁজে পায়নি পিএসজি। কোলে পালমার ও এনজো ফার্নান্দেজের রসায়নে অকার্যকর হয়ে পড়ে লুইস এনরিকের ডায়নামিক মিডফিল্ড ও আক্রমণভাগ।
প্রথমার্ধেই ম্যাচের লাগাম নিজেদের করে নেয় চেলসি। ম্যাচের ২২ ও ৩০ মিনিটে দুইটি দুর্দান্ত গোল করে ইংলিশ মিডফিল্ডার কোলে পালমার। আর ৪৩ মিনিটে পালমারের পাস থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রো চিপ শটে গোল করে নিশ্চিত করেন চেলসির আধিপত্য।
দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও চেলসির রক্ষণ ভাঙা ছিল তাদের জন্য দূরতম স্বপ্ন। গোলের সুযোগ তৈরি করতেও ব্যর্থ হয় লা প্যারিসিয়েনরা।
২০২২ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো চেলসি। তবে নতুন ফরম্যাটে আয়োজিত হওয়ায় এবারকার সাফল্য আরও তাৎপর্যপূর্ণ।