ইসলামে অনাহারীকে খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। কোরআন-হাদিসে এর বিশেষ গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে।
কোরআনের শিক্ষা:
আল্লাহ তাআলা বলেন, উত্তম মুমিনরা মিসকিন, এতিম ও বন্দীদের খাদ্য দান করে এবং বলে—“শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমরা তোমাদের খাওয়াই, কোনো প্রতিদান চাই না।” (সুরা দাহর: ৮-৯)
অন্য আয়াতে এসেছে, জাহান্নামিরা স্বীকার করবে—“আমরা নামাজ পড়তাম না এবং অভাবগ্রস্তকে খাওয়াতাম না।” (সুরা মুদ্দাসসির: ৪১-৪৪)
হাদিসের শিক্ষা:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— “ইসলামে উত্তম কাজ হলো খাবার খাওয়ানো ও চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেওয়া।” (বুখারি: ১২)
“ফেরেশতারা যার সওয়াব আলোচনা করে তা হলো মানুষকে খাদ্য দান, নরম কথা বলা ও রাতে নামাজ পড়া।” (তিরমিজি: ৩২২৫)
মদিনায় প্রথম ভাষণে তিনি বলেন: “সালাম প্রচলন করো, খাবার খাওয়াও, আত্মীয়তার সম্পর্ক রাখো, রাতে নামাজ পড়ো—তাহলে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (তিরমিজি: ২৪৮৫)
অতএব, প্রতিদিন অন্তত একজন অনাহারিকে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দেরও খাবার পাঠানো উচিত। এ কাজ দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতার কারণ হবে, ইনশাআল্লাহ।