জুলাই দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি শেষে পুলিশের লাঠিচার্জকে কেন্দ্র করে পটিয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শান্তিপূর্ণ স্লোগানের মধ্যেই পুলিশ হঠাৎ লাঠিচার্জ শুরু করে, যা পরবর্তীতে বড় ধরনের ছাত্র আন্দোলনে রূপ নেয়। ঘটনার সূত্রপাত হয় পটিয়া থানা চত্বর থেকে, যা ছড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে প্রথম দফায় পুলিশি লাঠিচার্জে আহত হন অন্তত ১২ জন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র। গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন আশরাফুল ইসলাম তৌকির (২১) ও সাইফুল ইসলাম (১৭), যাদের তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর রাত ১১টার দিকে দ্বিতীয় দফা সংবাদ সম্মেলনের সময় আবারও পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে রিদুয়ান সিদ্দিকী ও সাইফুল ইসলামসহ আরও ৬-৭ জন আহত হন।
ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (২ জুলাই) সকাল থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে। কয়েক হাজার আন্দোলনকারী এই অবরোধে অংশ নেয়। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং চরম দুর্ভোগে পড়েন পরীক্ষার্থী, রোগী, নারী ও সাধারণ যাত্রীরা।
অবরোধ চলাকালে পুলিশের আরেক দফা লাঠিচার্জে বৈছাআ’র এক সংগঠক নুসরাত আক্তার আহত হন। অবরোধস্থলে উপস্থিত ছাত্ররা ওসি আবু জায়েদ, সার্কেল এসপি আরিফ ও সেকেন্ড অফিসার আসাদসহ জড়িতদের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “শাস্তি ও অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজন হলে আরও কঠিন কর্মসূচিতে যাবো।”