আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। চিঠিতে রমজান শুরুর আগেই নির্বাচন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া চিঠিটি নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে পাঠান।
চিঠির পরই ইসি সচিবালয়ে ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ভোট গ্রহণের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। অক্টোবরের মধ্যেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চায় ইসি।
সিইসি বলেন, নির্বাচন যেন স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর হয়, সে লক্ষ্যেই সব পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিতর্কিত নির্বাচনের অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বের হয়ে জনগণের আস্থা অর্জনকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ইসি। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও সমর্থকেরা ভোট দিতে পারবেন।
ইসির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন সামগ্রী কেনা, সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইনি সংস্কার ও আচরণ বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যবেক্ষণে আসবে।
এবার প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ৪৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে ২৯ হাজারের বেশি।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের রদবদলের কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ২০০ কর্মকর্তাকে বদলি করা হচ্ছে, যাদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিন একই এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ইসি জানায়, নির্বাচন যেন সর্বজনগ্রাহ্য হয়, সেই লক্ষ্যে আইন সংস্কার ও রাজনৈতিক সংলাপও পরিকল্পনায় রয়েছে।