ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারৈয়ারহাট অংশ মিরসরাই উপজেলার একটি ব্যস্ততম এবং বাণিজ্যিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, বিশেষ করে ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও রোগী এ মহাসড়ক পারাপার হন। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাবাসী এবং ব্যবসায়ীদের একমাত্র দাবি—একটি আন্ডারপাস কিংবা ওভারপাস নির্মাণ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আজও এই দাবি বাস্তবায়নের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
বর্তমানে যে ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে, সেটি ব্যবহার করতে শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থদের জন্য চরম কষ্টসাধ্য। ফলশ্রুতিতে তারা বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হন, যার কারণে ঘটছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।
সম্প্রতি যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে, তা থেকে স্পষ্ট, বারৈয়ারহাটে নিরাপদ পারাপারের ব্যবস্থা এখন সময়ের দাবি নয়, বরং মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জরুরি করণীয়।
আমরা লক্ষ্য করছি, দেশের বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন প্রকল্পের নামে হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। কিন্তু একটি আন্ডারপাস কিংবা ওভারপাসের মত মৌলিক, জীবনঘনিষ্ঠ প্রকল্প কেন আজও বাস্তবায়িত হচ্ছে না, তা সত্যিই বিস্ময়কর।
আরও আশঙ্কার বিষয় হলো, এ সমস্যার কারণে কেবল প্রাণহানি নয়; বারৈয়ারহাটের ব্যবসা-বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, যার প্রভাব পড়ছে বাজারের স্বাভাবিক গতিতে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, প্রস্তাবনাটি পিইসি পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে, এমন অনেক প্রস্তাব বছরের পর বছর ধরে ফাইলবন্দি থাকে। তাই প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং প্রশাসনিক তৎপরতা।
আমরা “মিরসরাই ট্রিবিউন” এর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সড়ক বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি— বারৈয়ারহাটে অবিলম্বে একটি আন্ডারপাস কিংবা ওভারপাস নির্মাণ করুন। এটি শুধু উন্নয়ন প্রকল্প নয়; এটি জনগণের নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত। মানুষ আর মৃত্যুর মুখে পড়ুক—এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ভবিষ্যৎ আরও বড় দুর্ঘটনার আগে সিদ্ধান্ত নিন। এখনই সময়।