রাউজানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. সেলিম (৪০) নামে যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন।

রবিবার (৬ জুলাই) দুপুরে কদলপুর ইউনিয়নের ঈষাণ ভট্টের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম কদলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শমসের পাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।

ঘটনার পরপরই তাকে উদ্ধার করে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্বজনরা ছুটে আসেন হাসপাতালে। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালের পরিবেশ।

সেলিমের ফুফাতো ভাই মো. রিদুয়ান জানান, “আমাদের এক আত্মীয়ের জানাজা শেষে সেলিম মোটরসাইকেলে করে ঈষাণ ভট্টের হাট এলাকায় ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার ও মেয়ে। হঠাৎ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এসে বোরকা পরা দুই যুবকসহ ৪-৫ জন সেলিমকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি তার মাথায় লাগে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”

#

নিহতের স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার বলেন, “আমরা জানাজা শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। ওষুধ কেনার জন্য ঈষাণ ভট্টের হাট এলাকায় গিয়েছিলাম। এ সময় একটি সিএনজি অটোরিকশায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে আমার স্বামীর মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। আমি আর আমার মেয়ে মোটরসাইকেলের পেছনে ছিলাম, আমরাও নিচে পড়ে যাই। হামলাকারীদের মধ্যে একজনের নাম ইলিয়াস, বাকিদের চেহারা দেখলে চিনতে পারব।”

স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। নিহত সেলিম যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, “রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের ঈষাণ ভট্টের হাট এলাকায় সেলিম নামে এক ব্যক্তি দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

এ সম্পর্কিত আরও খবর