পাগলা মসজিদে দান করা যাবে অনলাইনে

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে প্রতি তিন থেকে চার মাস পরপর মেলে কোটি কোটি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা। দেশের এই ব্যতিক্রমধর্মী দানপ্রবাহকে আরও সহজ, বিস্তৃত ও প্রবাসীবান্ধব করতে এবার চালু করা হলো অনলাইন ডোনেশন ব্যবস্থা।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে পাগলা মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় অনলাইন ডোনেশন কার্যক্রম ও ওয়েবসাইটের (http://www.paglamosque.org/) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। অনুষ্ঠানে মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, “মানুষ বিশ্বাস থেকে এই মসজিদে দান করে থাকেন। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যারা দূরে বা প্রবাসে অবস্থান করছেন, যাদের পক্ষে সরাসরি এসে দান করা সম্ভব হয় না। তাদের কথা বিবেচনায় আমরা অনলাইন ডোনেশনের ব্যবস্থা করেছি, যাতে তারা সহজেই বিভিন্ন পেমেন্ট মেথোড ব্যবহার করে মসজিদে দান করতে পারেন।”

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সর্বশেষ মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা, সঙ্গে ছিল প্রচুর স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রাও।

#

জানা গেছে, বিশ্বাস করা হয়, এই মসজিদে মানত করলে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়। সেই বিশ্বাস থেকেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ নিয়মিত দান করে থাকেন। প্রতি বছর বাড়ছে দানের পরিমাণ। এই অর্থ দিয়ে মসজিদ কমপ্লেক্সকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তর করার কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর