২০২৫ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশে এক ঐতিহাসিক বাঁকবদলের সূচনা হয়। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন ধীরে ধীরে রূপ নেয় গণ-অভ্যুত্থানে। ২০১৮ সালের বাতিল হওয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ৫ জুন আন্দোলনের সূচনা হয়। ৬ জুন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্লোগান উঠে: “কোটা না মেধা? মেধা মেধা!”
১ জুলাই থেকে রাজু ভাস্কর্যে শুরু হয় বৃহত্তর ছাত্র ও চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান। দাবি উপেক্ষা করায় ৪ জুলাই পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নাহিদ ইসলাম। ১১ জুলাই পর্যন্ত সিদ্ধান্ত না আসায় সারা দেশে শুরু হয় ‘বাংলা ব্লকেড’।
১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হামলা, ১৬ জুলাই রংপুরে আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডে আন্দোলন আরও বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে জনতাও ছাত্রদের পাশে দাঁড়ায়। সরকার রক্তাক্ত দমনপীড়নে শত শত প্রাণ কেড়ে নেয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অভ্যুত্থানে ১,৪০০+ মানুষ শহীদ হন।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। ৮ আগস্ট ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়। এরপর থেকে ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে আলোচনা চলছে, কিন্তু এখনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আসেনি।
বিভিন্ন দলের দাবি:
এনসিপি: সরকার যদি উদ্যোগ না নেয়, নিজেরাই ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করবে।
বিএনপি: সবচেয়ে আন্তরিকভাবে আলোচনায় অংশ নিচ্ছে, সাংবিধানিক সংস্কারে প্রস্তুত।
জামায়াতে ইসলামি: সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে সাত দফার অংশ করেছে।
একটাই প্রশ্ন এখন:
“জুলাই সনদ কি বাস্তবে রূপ নেবে, নাকি কেবলই থাকবে প্রতিশ্রুতির ফাঁদে?”