ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি, খামেনির নীরবতা

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এখনো এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন ও বিশ্লেষণ।

বিবিসি ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে এমন এক সময়ে, যখন কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই ইসরায়েল ইরানের এক পরমাণু বিজ্ঞানীকে সপরিবারে হত্যা করে। এর জবাবে ইরান ইসরায়েলের বিরশেবা শহরে পাল্টা হামলা চালায়, যাতে চারজন নিহত হন।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন,
“যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, দয়া করে কেউ এটি লঙ্ঘন করবেন না।”

তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির কোনো চুক্তি হয়নি। তবে ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ রাখে, তাহলে ইরানেরও পাল্টা হামলার ইচ্ছা নেই।

#

আয়াতুল্লাহ খামেনি সর্বশেষ ১৮ জুন একটি রেকর্ডকৃত ভাষণে কথা বলেন। তখন তিনি ট্রাম্পের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’-এর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। বর্তমানে তিনি তেহরানের নিয়মিত বাসভবনে না থেকে নিরাপদ বাঙ্কারে অবস্থান করছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও তা সরকারি ভাবে নিশ্চিত নয়।

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির খবরে স্বস্তি ফিরলেও অতীত অভিজ্ঞতায় তেল আবিবের আচরণ নিয়ে এখনো রয়েছে গভীর সন্দেহ ও উদ্বেগ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর