ভারতে পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আরিফুজ্জামান আরিফের।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতের হাকিমপুর চেকপোস্টে প্রবেশের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাকে আটক করে। পরে তাকে উত্তর চব্বিশ পরগনার স্বরূপনগর থানায় সোপর্দ করা হয়।
একাধিক হত্যা মামলার আসামি
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরিফুজ্জামান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত তিনটি হত্যা ও দুটি হত্যা চেষ্টা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। এর মধ্যে শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মেরাজুল ইসলাম ও শহীদ সাজ্জাদ হোসেন হত্যা মামলার আসামি তিনি। এছাড়াও কলেজ শিক্ষার্থী জিম ও পল্লী চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী হত্যা চেষ্টা মামলাতেও তার নাম রয়েছে।
বরখাস্ত ও পলাতক
আরিফুজ্জামানের বাড়ি নীলফামারীতে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে তাকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা এপিবিএনে বদলি করা হলেও পরে তিনি পলাতক হন। গত বছরের ১৪ আগস্ট বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আন্দোলন দমনে আগ্রাসী ভূমিকা
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে সবচেয়ে আগ্রাসী ছিলেন আরিফুজ্জামান। ১৬ জুলাই ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজি মোড়ে শিক্ষার্থীদের মিছিলে লাঠিচার্জের নেতৃত্ব দেন এবং শহীদ আবু সাঈদকে গুলি করার আগে-পরে নির্দেশ দেন ও নিজেও গুলি চালান।
দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া
বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হলে সেটি আগে নিষ্পত্তি হবে। এরপর দুই দেশের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া এগোবে।