গাজার মাটিতে আবারও নির্মমতা—আবারও এক শিশু, এক স্বপ্ন, এক ছোট্ট প্রাণ থেমে গেল ইসরায়েলি আগ্রাসনের বুলেটে। তার নাম আমির। বয়স মাত্র নয়। খালি পায়ে হেঁটেছিল ১২ কিলোমিটার, লক্ষ্য শুধু একমুঠো খাবার। মাটিতে পড়ে থাকা চাল-ডালের সেই একমুঠো খাবারই হলো তার জীবনের শেষ স্মৃতি।
২৮ মে, মঙ্গলবারের সেই রক্তাক্ত দিনটির কথা জানালেন গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে কর্মরত এক সাবেক মার্কিন সেনা অ্যান্থনি আগুইলার। তিনিই জানান গাজার ‘ছোট্ট আমির’-এর শেষ মুহূর্তের হৃদয়ছোঁয়া বিবরণ।
অ্যান্থনি বলেন, “শিশুটি আমার কাছে এসে নিজের ব্যাগ রেখে গিয়েছিল। আমার হাতে চুমু খেয়ে ইংরেজিতে বলেছিল, ‘থ্যাঙ্ক ইউ’। চোখে ছিল তীব্র ক্ষুধা, মুখে ছিল কৃতজ্ঞতা। তারপর ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেল।”
মাত্র কয়েক মিনিট পরেই বেজে উঠল গোলার আওয়াজ। হামলা চালায় দখলদার বাহিনী। আর ভেঙে গেল এক শিশু-স্বপ্ন। মৃত্যু হয় সবার মাঝে থাকা সেই ছোট্ট আমিরের।
এটি গাজার প্রতিদিনের চিত্র। কোনো হাসপাতাল নেই, খাদ্য নেই, পানি নেই। ক্ষুধার্ত মানুষগুলো শুধু বেঁচে থাকার লড়াই করছে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ—কেউ রেহাই পাচ্ছে না। ত্রাণ নিতে এসে প্রতিনিয়ত নিহত হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। আর বিশ্ব নীরব।
অ্যান্থনির কণ্ঠে কাঁপুনি ছিল, “সেদিন গাজার অন্যদিনগুলোর মতোই ছিল, কিন্তু মৃত্যু এসেছিল দ্রুত।”
সূত্র: সমকাল