বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পেয়েছে ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী এনএস কামিল মাদরাসা। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এ বছর ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৭ জন। ফেল করেছে মাত্র একজন। ফলে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৯৯.৭৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার প্রায় ৫৪ শতাংশ।
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী শহিদুল ইসলাম জানান, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত আযীযুর রহমান কায়েদ প্রতিষ্ঠিত এই মাদরাসায় ফলাফলে এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে। তাঁর ভাষায়, “আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল করে আসছি। এ বছর দেশসেরা হওয়াটা আমাদের জন্য গর্বের।”
অন্যদিকে ঢাকার দারুন্নাজাত আলিয়া মাদরাসায় পাসের হার ছিল ৯৬ শতাংশ এবং তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় ৯৭ শতাংশ। গড় ফলাফলের বিবেচনায় এনএস কামিল মাদরাসা এবার দেশের সেরা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এদিকে এসএসসি পরীক্ষায় ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২২২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ২১২ জন কৃতকার্য হয় এবং ৫৪ জন জিপিএ-৫ অর্জন করে। সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২১৫ জন অংশ নিয়ে ২১২ জন পাস করে, যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ জন।
শহরের ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা থেকে ৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। কুতুবনগর আলিম মাদরাসা থেকে ৩৮ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১২৪ জন, তবে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ৮১ জন। জিপিএ-৫ অর্জন করতে পারেনি কেউ।
ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, “সমগ্র ঝালকাঠি জেলার পরীক্ষার ফলাফল এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে আমি এই ফলাফলে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। আজকেও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি। সকলের সাথে সমন্বয় করে আমরা এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কাজ করে যাচ্ছি।”