পাকা পেঁপে যেমন মিষ্টি স্বাদের জন্য জনপ্রিয়, তেমনি কাঁচা পেঁপেও কম উপকারী নয়। বিশেষ করে কাঁচা পেঁপের জুস আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনে। যদিও এর স্বাদ শুরুতে কিছুটা অস্বস্তিকর মনে হতে পারে, তবে একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটি আপনার খাদ্যাভ্যাসের অন্যতম স্বাস্থ্যকর অংশ হয়ে উঠতে পারে। কাঁচা পেঁপের জুস শরীরকে শুধু হাইড্রেটই করে না, বরং শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াকে উন্নত করতেও সাহায্য করে।
কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে পাপাইন নামক এক শক্তিশালী এনজাইম, যা প্রোটিন ভেঙে ফেলতে সহায়তা করে। ফলে খাবার সহজে হজম হয়, পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা কমে যায়। নিয়মিত এই জুস পান করলে বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়। এটি হজমশক্তি বাড়ানোর এক প্রাকৃতিক উপায়।
এছাড়া, কাঁচা পেঁপের প্রায় ৮৮ শতাংশই পানি, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি হালকা মূত্রবর্ধক হিসেবেও কাজ করে, ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং স্বস্তি অনুভব হয়।
ওজন কমাতে চাইলে কাঁচা পেঁপের জুস হতে পারে আপনার উপকারী সঙ্গী। এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও এনজাইম, যা বিপাকক্রিয়া বাড়ায় এবং হজমে সহায়তা করে। ক্যালোরি কম থাকায় এটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবেও বিবেচিত। নিয়মিত এই জুস পান করলে মলত্যাগ সহজ হয় এবং শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়।
কাঁচা পেঁপের জুস ত্বক পরিচর্যাতেও অসাধারণ। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’, যা ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ফেলে এবং নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও পরিষ্কার।
সবশেষে, এই জুস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ছোটখাটো সংক্রমণ বা ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করে। ঋতু পরিবর্তনের সময় কাঁচা পেঁপের জুস শরীরকে সজীব ও শক্তিশালী রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।