বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পানি আগ্রাসন ও অসম চুক্তির বিরোধিতা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় নির্মমভাবে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র কেন্দ্রীয় নেতারা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তারা জিয়ারত করেন।
এরপর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ও মা রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। নেতারা স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন। পরে তারা কুষ্টিয়া শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং শহরে পদযাত্রায় অংশ নেন।
‘জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন সংবিধান’ দাবিতে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সোমবার পাবনায় পথসভা শেষে নেতারা রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে কুষ্টিয়ায় পৌঁছান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ড. আতিক মুজাহিদ, আখতার হোসেন, ডা. তাসনিম জারা, সারজিস আলম, সাইফুল্লাহ হায়দার, আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবু সাঈদ লিয়ন, হাসনাত আবদুল্লাহ, ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মো. আতাউল্লাহ, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, ফিহাদুর রহমান দিবসসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধরে নিহত হন আবরার ফাহাদ। পরে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়। আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
আবরার ১৯৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার রায়ডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কুষ্টিয়া জিলা স্কুল ও নটরডেম কলেজে পড়াশোনা শেষে ২০১৮ সালে বুয়েটে তড়িৎ প্রকৌশলে ভর্তি হন। তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজও বুয়েটের ছাত্র।